মঙ্গলবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০২:০৫ পূর্বাহ্ন
ভৌতিক গল্পঃএটি আমার সংগৃহীত ২য় ভৌতিক গল্প।
আমার ১ম সংগৃহীত ভৌতিক গল্পটি বেশ সাড়া পাবার পর ২য় সংগৃহীত ভৌতিক গল্পটি লেখলাম।
আশা করি ভুল ক্রুটি মার্জনা করবেন।
যাই হোক ভৌতিক গল্প মধ্যরাতে ভয়ঙ্কর পাঠা শুরু করা যাক গল্পকারের ভাষায় বলছি আমার নাম মিজানুর রহমান।
বাসা -উদপাড়া,গোয়ালকান্দি, বাগমারা,রাজশাহী।
আমি যখন উদপাড়া বিলের গভীর নলকূপের ড্রেনম্যান ছিলাম তখনকার ঘটনা।
উদপাড়া বিলের গভীর নলকূপটি বা ড্রিপ গোয়ালকান্দি বাজারের পূর্ব পাশে অবস্থিত।
প্রতিদিনের ন্যায় আমি বাদ এশার সময় বিলের ধান সেচ দেওয়ার জন্য গভীর নলকূপ বা ড্রিপের ঘরে দিকে যাচ্ছি হঠাৎ করে বানপুকুর নামক স্থানে আমি সাঁপের বিকট আকারের ফোঁস ফোঁস শব্দ শুনতে পেলাম অামি নিজেকে নিরাপদ দুরত্বে রেখে আমার হাতে থাকা লাইট ধরলাম আর হতভম্ব হয়ে গেলাম ২টি বিশাল আকৃতির অজগর সাঁপ নিজেদের মধ্য খুনসুটি করছে।
লাইটা মারার সঙ্গে সঙ্গে সাঁপ ২টি রাগান্বিত হয়ে রক্তাক্ত লাল জিহ্বা বের করে বিকট আকারে ফোঁস ফোঁস শব্দ করে চোখের পলকে উধাও হয়ে গেল।
এরপর আমি হাঁটতে হাঁটতে গভীর নলকূপ বা ড্রিপের ঘরে গিয়ে ড্রিপ চালু করলাম।
এরপর ধানের জমিতে পানি সেচ দেওয়ার বিলের মাঝখানে চলে গেলাম ধানের জমিতে পানি সেচ দিতে দিতে হঠাৎ করে ধানের জমির পাশে ধান নড়াচড়া করা ও পাঠার আওয়াজ শুনতে পেলাম।
আমি ততক্ষণাৎ পাঠার পিছন নেয়া শুরু করলাম আমি ধানের জমির এক পাশে গেলে পাঠা জমির আরেক পাশে চলে যাচ্ছে এভাবে আমাদের চোরপুলিশ খেলা চলতে চলতে পাঠাটি বিলের ধারে চলে আসলো আর একটি কুল বা বড়ই গাছে উঠে গেল।
আমি বড়ই গাছে উঠতে শুরু করলাম।
সেই বড়ই গাছটি ছিল অত্যধিক ঝোপড়িযুক্ত আমার হাতে থাকা হাসেটি দিয়ে বড়ই গাছের ডালপালা কাটতে শুরু করলাম। আর বড়ই গাছের উপরে উঠতে লাগলাম।
পাঠাটি বড়ই গাছের সবর্চ্চ কিনারাই উঠে গেল।
আমি সেই বড়ই গাছটির ডালটি কাটতে শুরু করলাম আর আমি বড়ই গাছে উঠা পাঠাটির দিকে তাকালাম সেই পাঠাটি ২বা ৩হাত লম্বা একটি রক্তাক্ত লাল জিহ্বা বের করে পাঠাটি উধাও গেল।
আমি হতবাগ ফিরে আসলাম।
তখন আমি চিন্তা করলাম আজ আমি ধানের জমিতে পানি সেচ দেওয়ার কাজ আর করব না।
আজ আমি বিলের ধারে চেউখালী গ্রামে যাত্রাপালা দেখতে যাব।
তখন আমি গভীর নলকূপ বা ড্রিপটির ঘরে গিয়ে গভীর নলকূপ বা ড্রিপটি বন্ধ করে যাত্রা দেখার উদ্দেশ্য চেউখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পথে রওনা দিলাম।
পথেমধ্য দুর থেকে দেখলাম চেউখালী মন্দির আলোকসজ্জায় পরিপূর্ণ আমি চিন্তা করলাম এত সুন্দর আলোকসজ্জা চেউখালী মন্দির আমি আর যাত্রা দেখতে যাবনা এই মন্দিরে গিয়ে গান-বাজনা শুনব।
সেই চিন্তায় আমি মন্দিরের উদ্দেশ্য আনন্দচিত্রে যেতে শুরু করলাম যেই আমি মন্দিরের কাছে গেলাম আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম এত সুন্দর জমকালো আলোকসজ্জায় পরিপূর্ণ মন্দিরের সকল আলো মূহুর্তেই উধাও হয়ে গেল আর গভীর অন্ধকারে চারিদিকে নিমজ্জিত হয়ে গেল।
তখন আমি চিন্তা করলাম আজ আর কোথায় যাব না।
আমি সরাসরি বাসায় চলে আসলাম।
এই হচ্ছে আমার সাথে ঘটে যাওয়া ভৌতিক গল্প।