বৃহস্পতিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৯:০০ অপরাহ্ন
সাকিবুল ইসলাম সাকিব,আমতলী (উপজেলা) প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আমতলী উপজেলার আঙ্গুলকাটা গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ কেটে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে মুন্সি ইটভাটার মালামাল আনা-নেয়ার জন্য রাস্তা তৈরি করে ইটভাটা ভাড়া দিয়েছে মালিকপক্ষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বাঁধ কেটেছেন বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এতে বড় ধরনের বন্যা ও জলোচ্ছাস হলে তলিয়ে যাবে গুলিশাখালী ইউনিয়ন। হুমকির মুখে রয়েছে ওই গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ।
জানা গেছে, ১৯৮০ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড পায়রা নদী ঘেঁষা আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা ও জলোচ্ছাসের হাত থেকে রক্ষায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে। ওই বাঁধ নির্মাণ করায় গুলিশাখালী ইউনিয়নের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ সিডর, আইলা ও মহাসেনের মতো বন্যা ও জলোচ্ছাসের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
কিন্তু ৪৩/২এফ পোল্ডারের আঙ্গুলকাটা নামক স্থান দিয়ে স্থানীয় মুন্সি ইটভাটার মালিক বাদল মুন্সি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে মালামাল আনা-নেয়া করার জন্য রাস্তা তৈরি করে ইটভাটাটি ভাড়া দিয়েছেন জনৈক মো. আবুল মৃধার কাছে।
আবুল মৃধা সুড়ঙ্গ রাস্তা দিয়ে মালামাল আনা নেওয়া করছেন। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কাটা অংশের উপরে বিভিন্ন কাঠের গুঁড়ি ফেলে রেখেছেন তিনি। ওই কাঠের গুঁড়ির ওপর দিয়ে এলাকার মানুষ ও যানবাহন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জোয়ারের পানিতে এমনিতেই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পানিতে ছোঁয়া-ছোঁয়া অবস্থায় থাকে। কোনো জলোচ্ছাস হলেই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কাটা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে এলাকা তুলিয়ে যাবে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হবে গুলিশাখালী ইউনিয়নের আঙ্গুলকাটা গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ।
মুন্সি ইটভাটার মালিক মো. বাদল মুন্সির সাথে কথা বলার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
বর্তমানে মুন্সী ইটভাটা পরিচালক মো. আবুল মৃধা বলেন, মুন্সি ইটভাটার মালিক বাদল মুন্সীর কাছ থেকে ইটভাটা ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছি, আমি বাঁধ কাটি নাই। মালিক বাদল মুন্সীই বাঁধ কেটেছেন।
আঙ্গুলকাটা গ্রামের ইউপি সদস্য মো. ওহাব মিয়া মুঠোফোনে বলেন, বাধঁকাটার ফলে আঙ্গুলকাটা গ্রামের মানুষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো.আজিজুর রহমান সুজন বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধকেহ কাটতে পারেনা। সরেজমিন পরিদর্শন করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আশরাফুল আলম বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বরগুনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, বাঁধ কাটার কোন বিধান নাই, দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেযা হবে।