নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে রাজশাহীর দুইটি উপজেলায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে- পবা এবং মোহনপুর। এই দুইটি উপজেলা নিয়ে সংসদীয় আসন ৫৪, রাজশাহী-৩ গঠিত। বর্তমানে এই আসনের সাংসদ রয়েছেন মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ এবং সাবেক সাংসদ রয়েছেন মোঃ আয়েন উদ্দিন। ইতিমধ্যে তৃতীয় ধাপের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে পথিক বরাদ্দ হয়ে গেছে (১৩ই মে) সোমবার।
এরপর শুরু হয় নির্বাচনী প্রচারণা। আইন অনুযায়ী, ভোট গ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত চলবে প্রচার। আগামী ২৯ মে এই ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
মোহনপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার লুৎফার হোসেন জানান, তৃতীয় ধাপে মোহনপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়াম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন; মোট ১৫ জন প্রার্থী। যাচাই-বাছাই শেষে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে।
উপজেলায় নির্বাচন ও প্রচারণার মাঠে জামাত-বিএনপি বা অন্য কোন দলের চেয়ারম্যান প্রার্থী না থাকায় এ নির্বাচনে উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে দু'পক্ষে চেয়ারম্যান নির্বাচন করার লক্ষ্যে মাঠে কাজ করছেন। তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে অন্য দলের প্রার্থীরাও রয়েছেন।
একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে মোহনপুর উপজেলা গঠিত। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না থাকায় আগ্রহী প্রায় সব প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। বর্তমান সংসদ সদস্য মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ দলীয় নির্দেশনার কারণে নির্বাচনের মাঠে কাজ না করলেও সাবেক সাংসদ মোঃ আয়েন উদ্দিনকে এ নির্বাচনের মাঠে দেখা গেছে। এ উপজেলা নির্বাচনে পাঁচ জন প্রার্থীর মধ্যে কাপ-পিরিচ মার্কা প্রতীকের প্রার্থী আল-মোমিন শাহ্ (গাবরু) এর পক্ষে কাজ করছেন সাবেক সংসদ আয়েন উদ্দিন।
রোববার (১৯ মে) সকালে উপজেলার ৪নং মৌগাছি ইউপির মৌগাছি বাজারে কাপ-পিরিচ প্রতিকের প্রার্থী আল-মোমিন শাহ্ গাবরুর পক্ষে সাবেক সাংসদ আয়েন উদ্দিন, কেশরহাট পৌর মেয়র শহীদুজ্জামান শহীদ, ১নং ধুরুল ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, ৩নং রায়ঘাটি ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু হোসেন, ৬নং জাহানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী সহ আরো অনেকেই নির্বাচনী গণসংযোগ ও প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছেন।
অপরদিকে সাধারণ ভোটাররা বাকি চারজন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে বর্তমান সংসদ সদস্যের পক্ষের ধরে নিচ্ছেন। এ চারজন চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন ঘোড়া মার্কা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ এনামুল হক, আনারস মার্কা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ আফজাল হোসেন বকুল, দোয়াত কলম মার্কা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মেহেবুব হাসান রাসেল, মোটরসাইকেল মার্কা প্রতীকের প্রার্থী আলমগীর মোরশেদ রনজু।
দলীয় নেতা-কর্মীরা বলেন, প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকেই প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। সকল চেয়ারম্যান প্রার্থী, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা গোটা উপজেলা জুড়ে নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগ চালাচ্ছেন। বিভিন্ন এলাকায় ছোট ছোট নির্বাচনী সভা করছেন। তবে এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীদের মধ্যে প্রচারণায় এখন পর্যন্ত অনেকটাই এগিয়ে আছেন আনারস মার্কা প্রতীকের প্রার্থী আফজাল হোসেন বকুল এবং কাপ-পিরিচ মার্কা প্রতিকের প্রার্থী আল-মোমিন শাহ গাবরু। বাকি তিনজন প্রার্থীও নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। থেমে নেই পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরাও। এখন পর্যন্ত এ উপজেলায় নির্বাচন কেন্দ্রিক কোন প্রকার হট্টগোলের খবর পাওয়া যায়নি।