September 19, 2024, 10:32 pm

নোটিশ :

জরুরি ভিত্তিতে সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে আগ্রহী প্রার্থীরা যোগাযোগ করুন।

সর্বশেষ সংবাদ : :
রাণীশংকৈলে পুষ্টি বিষয়ক সচেতনামূলক ক্যাম্পেইনিং পুষ্টি মেলার সমাপনী ও পুরুষ্কার বিতরন তিতাসে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত  মেগা প্রজেক্টের নামে দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার- বিএনপি মহাসচিব নাসিরনগর থানা পুলিশ কর্তৃক দুর্ধর্ষ ডাকাত গ্রেফতার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লতিফ হোসেন আটক নাসিরনগরে দুর্ধর্ষ ডাকাত গ্রেফতার চারঘাটে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও উপকরণ বিতরন অনুষ্ঠিত ঠিকাদার আত্মগোপনে, ভোগান্তিতে ৫০ গ্রামের মানুষ রাণীশংকৈলে পুষ্টি বিষয়ক সচেতনামূলক ক্যাম্পেইনিং পুষ্টি মেলার উদ্বোধন রাণীশংকৈলে দিনব্যাপী ৭৫ জন পাট চাষীকে প্রশিক্ষণ শেষে বীজ ও সার বিতরণ 
পাঠক শূন্য পুঠিয়ার সাধারণ পাঠাগার

পাঠক শূন্য পুঠিয়ার সাধারণ পাঠাগার

আরিফুল হক (রুবেল) স্টাফ রিপোর্টারঃ 

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার একমাত্র সাধারণ পাঠাগারটি এখন পাঠক শূন্যতায় ধুঁকছে। এক সময় এসব পাঠাগারে চেয়ার ফাঁকা হওয়ার অপেক্ষায় থাকতো পাঠকরা। এখন চেয়ারগুলোই পাঠকের আশায় থাকে।
বই পড়ার টেবিলগুলাও নষ্ট, কোথাও বা উপরের সিলিং ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম, নতুন করে কোন বইও এ পাঠাগার যোগ হয়নি।

উপজেলার সব স্থানে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও উপজেলা সাধারণ পাঠাগার এখন পর্যন্ত কোন কিছুতেই আধুনিকতার ছোঁয়াপ লাগেনি।

এর কারণে ও পাঠক সংখ্যা কমতে পারে বলে মনে করে অনেকেই। সাধারন পাঠকদের অভিযোগ সর্বত্র প্রতিনিয়ত পরির্বতনে ছোঁয়া লাগলেও এই পাঠাগারটি অযত্নে- অবহেলায় ক্রমেই জরাজীন্ন হয়ে পরেছে। তারা দাবী করছেন আধুনিক মানের প্রযুক্তিযুক্ত পাঠাগার গড়ে তুলতে পারলে এখানে আবারো পুরোনদের পাশাপাশি অনেক তরুণ প্রজন্মের পাঠকও আসবেন।

উপজেলা পরিষদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ মানুষের মাঝে বিভিন্ন বই পড়ার আগ্রহ থাকায় পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে সরকারী বাসভবনের সাথে ছোট ছোট চার কক্ষে নব্বই দর্শকে সাধারণ পাঠাগারটি চালু করা হয়। পত্র-পত্রিকার পাশাপাশি দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রকার উন্নত মানের বই পাঠকদের পড়ার জন্য রাখা হয়। পাঠকরা যেনো এসে নিয়মিত পড়াশুনা করতে পারেন । সেই জন্য প্রতিদিন বিকেলে চারটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকে। পাঠাগার দেখা শুনার জন্য সব সময় একজন ইনচার্য রাখা হয়েছে।

বর্তমানে নিয়মিত পাঠক মনিরুল ইসলাম বলেন, সাধারণ পাঠাগারে দিনদিন সাধারণ মানুষের মাঝে বই পড়ার আগ্রহ অনেক কমে যাচ্ছে। হাতের নাগালে তথ্য প্রযুক্তির সুবাদে বর্তমান প্রজন্মের যুবকদের মাঝে পাঠাগারে যাতায়াতের কোনো আগ্রহ নেই। যার কারণে এক সময়কার পাঠক পরিপূর্ণ পাঠাগারটি দিনে দিনে পাঠক শূন্য হয়ে যাচ্ছে।

পাঠাগারটিতে এক সময় দৈনিক পত্র-পত্রিকার পাঠকই ছিলেন প্রায় অর্ধশতাধিক। এছাড়া বিভিন্ন বই পড়ার জন্যও অনেক পাঠক এখানে ভীড় জমাতো। সব সময় পাঠকে পরিপূর্ণ থাকতো সাধারণ পাঠাগার। দিনদিন পাঠকের সাথে পাল্লা দিয়ে পাঠাগার থেকে বিভিন্ন মূল্যেমান বই গুলোও হারিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বইয়ের পাশাপাশি আধুনিক মানের প্রযুক্তি নির্ভর পাঠাগারটি গড়ে তোলা হলে এখানে আবারো পাঠক সংখ্যা বাড়বে।

উপজেলা সাধারণ পাঠাগারের ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক বছর আগে স্থানীয়দের পাশাপাশি দুর-দুরান্ত থেকে অনেক পাঠক এখানে আসলেও বর্তমানে তা অনেক কমে গেছে। প্রতিদিন যথা সময়ে পাঠাগার খোলা থাকলেও এখন হাতে গোনা মাত্র দু’তিনজন পাঠক নিয়মিত আসেন।

তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ, কে, এম নূর হোসেন নির্ঝর বলেন, উপজেলা সাধারণ পাঠাগারে আমি অনেকবার গিয়েছি। বই গুলা পুরানো এবং আসবাবপত্রগুলো নষ্ট হয়েছে এটা সত্য। তবে সাধারণ পাঠাগার ভিতরে হওয়ার কারণে বইপ্রেম মানুষের কাছে পরিচিতিটা অনেক কম। তবে উপজেলা সাধারণ পাঠাগারটিকে বড় পরিসরে করার ব্যবস্থা নিচ্ছি। তারপরে নতুন বই ক্রয় ও আসবাবপত্র গুলো আধুনিকায়ন করা হবে। তবে এটাকে আধুনিক মানের পাঠাগার হিসাবে গড়ে তোলা পরিকল্পনায় আমার রয়েছে।

এ ব্যাপারে নতুন উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. আব্দুস সামাদ মোল্লা বলেন, উপজেলার পাঠাগারটি সেই পুরনো ব্যবস্থাপনায় চলছে বলে আমি আজকেই শুনলাম। সবর্ত্র প্রতিনিয়ত আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে কিন্তু এই পাঠাগারে নতুন বইয়ের সংগ্রহ নেই। হয়তো পাঠকরা তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে শুধু বই কেন্দ্রীক পাঠাগারে আসতে চাইছেন না। তবে এটিকে আধুনিক মানের একটি পাঠাগার গড়ে তোলার জন্য যা করার প্রয়োজন তা আমি করবো।#

 

সংবাদটি শেয়ার করতে ক্লিক করুন




© All rights reserved © 2020 alokitobhorerbarta.com

Desing & Developed BY ThemesBazar.Com