বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২১, ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন
মোস্তাফিজুর রহমান জীবন, রাজশাহীঃরাজশাহীর দূর্গাপুর উপজেলায় চুরি হওয়া চেক ডিজওনার করে অভিনব কায়দায় প্রতারনা মুলক মামলা দায়েরের খবর পাওয়া গেছে।দুইটি মামলায় এক যুবক কে ১২ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,, নাহার কসমেটিক স্টোরের প্রোঃমোঃনাদিম মোস্তফা (২৫) এর নিজ নামীয় জনতা ব্যাংক তাহেরপুর শাখার হিসাব নং০১০০১৯০০২৭৬৫৬ স্বাক্ষরযুক্ত চেক নং৬৮৮৫৫২১-৬৮৮৫৫২৫ মোট পাঁচটি পাতা বাগমারা থানাধীন তাহেরপুর বাজারের যে কোন স্হানে গত ১০/১০/২০১৯ ইং সময়ে হারিয়ে গিয়েছে।যাহার বাগমারা থানা জিডি নং ৯১৪। যা অনেক খোঁজা খুঁজি করে পাওয়া যায়নি।
পরে আদালত এর নথি থেকে জানতে পারে যে,উকিল নোটিশ না পাঠিয়ে,দৈনিক বার্তা পত্রিকায় উকিল নোটিশ প্রকাশ করেন। মেসার্স আসিফা এন্টারপ্রাইজ(ভূষি) পোঃমোঃজাবিউল ইসলাম পিতা আজিমুদ্দিন সাং গোপালপাড়া দূর্গাপুর বাদী হয়ে নাহার কসমেটিক স্টোর পোঃমোঃনাদিম মোস্তফার হারিয়ে যাওয়া চেক নং ৬৮৮৫৫২১ – ২৭/০২/২০২০ তারিখে ডিজওনার করে প্রতারক জাবিউল দাবি করেন, সাংসারিক কাজের জন্য ৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পাবে বলে মামলা দায়ের করেন। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় যা সম্পূর্ন মিথ্যা । এলাকার লোকজন বলেছেন, কি এমন সংসার তার জন্য এতো গুলো টাকার প্রয়োজন? জাবিউলের বিষয়ে জানতে চাইলে, জাবিউলের আড়তদার জনাব,সাইফুল ইসলাম বলেন-ও তো এক নম্বরের মিথ্যা বাদি। বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার জন্য অনেক গুলো মামলা আছে। শুনছি এখন নাকি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পাঁয়তারা করছে।
এছাড়াও অনুসন্ধানে জানা যায়, জাবিউলের প্রতারনার ফাঁদ এ পড়ে ভুক্তভোগি অনেকই নিঃঙ্গ হয়ে তার বিরুদ্ধে প্রতারনা করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন।
নাদিম মোস্তফা দৈনিক লাখো কন্ঠ বাগমারা প্রতিনিধি কে বলেন,জাবিউল ও আমি একসাথে থাকতাম হঠাৎ একদিন সে বললো তোমাকে জনতা ব্যাংকে একটি একাউন্ট করে দিই তোমার ব্যাবসার জন্য দরকার হবে।আমাকে জাবিউল ব্যাংকে নিয়ে একাউন্ট করে দেন।কিছু দিন পর আমাকে সঙ্গে করে চেক আনতে ব্যাংকে নিয়ে যায় এবং ব্যাংক হতে চেক তুলে নিয়ে আমাকে ৫টি পাতায় সহি করতে বলে। সে বলে যে আমি যদি সহি ভুলে যাই তাই সহি করে রাখাই ভালো। আমি সরল মনে ৫ টি পাতায় সহি করে রেখে দিই।গত ১০/১০/২০১৯ ইং টাকা তুলতে গেলে খেয়াল করি চেকের ৫টি পাতা কে বা কাহারা চুরি করেছে।আমি জনতা ব্যাংক এর ম্যনেজার কে বিষয় টি বললে আমাকে থানায় গিয়ে জিডি করতে বলেলে আমি জিডি করি যাহা বাগমারা থানা জিডি নং ৯১৪।
শূধু তাই নয় হারিয়ে যাওয়া চেকের মধ্যে থেকে আরেকটি চেক নং ৬৮৮৫৫২২ জাবিউল বাদী হয়ে গত ০১/১০/২০২০ ইং তারিখের পুনরায় ৫ লক্ষ টাকার মামলা দায়ের জন্য উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে।এমন প্রতারণা মুলক মামলা র জন্য আমার মান সম্মানের হানি ঘটছে।গরীব হলেও তো আমার সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে।নাদিম মোস্তফা আরো বলেন, আমার হারিয়ে যাওয়া চেক ব্যাংক কিভাবে ডিজওনার করে দেন। আমি তাদের হারিয়ে যাওয়া চেকের বিষয়ে অবগত আগেই করছিলাম।
এ বিষয়ে জাবিউল এর কাছে কোন ধরনের লিখিত প্রমাণ পত্র আছে কি না/ কার উপস্থিতে টাকা প্রদান করেছেন, জানতে চাইলে তিনি কোন সমততর দিতে পারেন নি।
Leave a Reply