বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৮:১৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাগমারা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলতাব মন্ডলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছেন এক ব্যবসায়ী। গত ১৬ তারিখ সোমবার রাজশাহীর আদালতে বাগমারা বানায়পুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে ব্যবসায়ী আবুল কালাম বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামী বাগমারা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বাগমারা উপজেলার মোহনগঞ্জ আলিয়াবাদ গ্রামের মৃত মুসলেম মন্ডলের ছেলে আলতাব মোন্ডল। বাদির এজাহার আদালত আমলে নিয়ে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, মামলার আসামী একজন প্রতারক, ঠক ও হলুদ সাংবাদিক। সাংবাদিক পরিচয়দানককারি একজন চাঁদাবাজ। চাঁদাবাজি করে চলেন আলতাব মোন্ডল। মামলার বাদি একজন সহজ সরল নিরিহ ক্ষুদ্র একজন ইট ব্যবসায়ী। আসামী হলুদ সাংবাদিক আলতাব দীর্ঘদিন যাবত বাদি ইট ব্যবসায়ী আবুল কালামকে বিভিন্ন সময় ভয় ভিতি দেখিয়ে তার কাছে থেকে চাঁদাবাজি করে আসছে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ বাদি। সাম্প্রতিক, আসামী আলতাফ গত ০২ জানুয়ারি ২১ ইং তারিখ বাদির ইট ভাটা অফিসে গিয়ে ভাটার ম্যনেজার ২ নং সাক্ষীর নিকট হতে জোর পূর্বক ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ১০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে নিয়ে যায়। আসামীর ক্ষমতার দাপটের কাছে অসহায় ব্যবসায়ী।
সর্বশেষ গত ৭-০২-২১ ইং তারিখ সকাল ১১ টার দিকে ইট ভাটায় আলতাব উপস্থিত হয়ে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সামনে ফের ৪০ হাজার টাকা চাঁদাদাবি করে ইট ভাটার মালিক আবুল কালামের কাছে। চাঁদার টাকা না দিলে ইট ভাটা প্রশাসন দিয়ে গুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয় আলতাব। সেই ক্ষমতা আসামীর আছে বলে ভয় দেখায় বাদিকে। চাঁদাবাজির লাইসেন্স আছে আসামীর বলে হুমকি প্রদান করে ব্যবসায়ীকে। বাদি তার দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে আসামী আলতাব মোন্ডল একটি ধারালো চাকু বের করে বাদি ব্যবসায়ীর গলায় ধরে জানে মেরে ফেলার চেস্টা করে ও হুমকি প্রদান করে এবং অকথ্য ভাষায় গালা গালি করে হুমকি প্রদান করে বলে, আজকেই তোর ব্যবসা বন্ধ করে দিবো যদি টাকা না দিস। বাদি নিরুপায় হয়ে মামলার ২ নং স্বাক্ষী ইট ভাটার ম্যনেজার আসামী চাঁদাবাজ বাগমারা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও মোহনগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের ক্লাক আলতাফ মোন্ডল কে ২০ হাজার টাকা উপস্থিত স্বাক্ষীদের সামনে প্রদান করে। টাকা ২০ হাজার নিয়ে সে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত চলে যায়।
ঘটনার ওই দিন, ইট ব্যবসায়ী আবুল কালাম বাগমারা থানায় উপস্থিত স্বাক্ষীদের নিয়ে চাঁদাবাজ সাংবাদিক আলতাফ মোন্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গেলে থানার দাইত্বে থাকা কর্মকর্তা অভিযোগ গ্রহন না করে ব্যবসায়ীকে বলেন, আসামী প্রভাবশালী তার সাথে আপোষ করে নিতে বলে। এছাড়া আদালতের আশ্রয় গ্রহন করতে বলেন পুলিশ। আসামী আলতাফ মোন্ডল বিভিন্ন ভাবে ভয় প্রদর্শন করার কারনে বাদির ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে।
মামলার বাদি আবুল কালাম জানান, আলতাফ মোন্ডল বাগমারা প্রেস ক্লাবের সভাপতি হবার পর থেকে তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজি করে চলে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে। চাঁদাবাজি যেন মনে হয় তার পেষায় পরিনতো হয়েছে। তার অত্যাচারে নিরুপায় হয়ে আদালতে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছি গত ২২ তারিখ সোমবার।
তিনি আরো বলেন, আদালত মামলার এজাহার আমলে নিয়ে পিবি আইকে তদন্ত করে আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। আশা করছি আদালত চাঁদাবাজ, প্রতারক আলতাব মোন্ডলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাগমারা প্রেস ক্লাবের এক সাংবাদিক বলেন, আলতাফ মোন্ডল সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকায় ব্যপক চাঁদাবাজি শুরু করে। বেশ কিছু দিন আগে এক পুলিশের স্ত্রীকে যৌন হয়রানির কারনে ভবানিগঞ্জ সিএনজি স্টেন্ডে পুলিশ সদস্য তাকে মারপিট করে তার জামা কাপড় ছিড়ে ফেলে। পরে স্থানিয় প্রশাসন গিয়ে আলতাফ কে উদ্ধার করে ইউএনও অফিসে বসে বিষটি সমাধান করে। সে মোহনগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের ক্লাক। কিন্তুু সে ঠিকমতো অফিস না করেই প্রতি মাসে বেতন ভাতা উত্তলন করে। নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদাবাজি করে ব্যপরোয়া হয়ে উঠেছে যা হলুদ সাংবাদিক হিসাবে পরিচিত হয়ে গেছে এলাকায়। দ্রুত তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করে বাগমারা প্রেস ক্লাব থেকে বহিস্কারের দাবি জানায় তিনি।
Leave a Reply