বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২১, ১২:২৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নভেল করোনারভাইরাসের প্রভাবে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও লকডাউন বিরাজ করছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, ওষুধের দোকান ছাড়া সব বন্ধ। এতে বেশি সমস্যায় পড়েছে দিনে এনে দিনে খাওয়া মানুষরা। এমনই একজন রাজশাহী পবা উপজেলার এক বৃদ্ধা।
অসহায় হতদরিদ্র পরিবারকে চাল বিতরণ করা হবে, এমন সংবাদ শুনে খাদ্য সামগ্রী পাওয়ার আশায় মোলাডাইং থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূর থেকে হেঁটে এসেছিলেন এই বৃদ্ধা।
কিন্তু এই বৃদ্ধা খাদ্য সামগ্রী চাইলে তাকে খাদ্য সামগ্রী না দিয়ে সেখান থেকে পাঠিয়ে দেয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কারীরা অতঃপর বিমর্ষ হয়ে বৃদ্ধা কান্নায় ভেঙে পড়েন ।
ঘটনাটি আজ শনিবার বেলা ১১ টায় রাজশাহী পবা উপজেলার হুজরীপাড়া ইউনিয়নের দারুশা বাজারের।
বিষয়টি নজরে আসলে আরএমপি কর্ণহার থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার আলী তুহিন নিজ অর্থায়নে কিনে দিলেন কিছু খাবার।
আরএমপি কর্ণহার থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার আলী তুহিনকে বৃদ্ধা জানান, পবা উপজেলার মোল্লাডাইং গ্রামে তার বাসা বাড়ি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে চলেন কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারনে সকল কিছু বন্ধ থাকায় তার বাসায় একটুও খাবার নেই বলে এই বৃদ্ধা জানান।
দেশে করোনাভাইরাস দেখা দিলে ভিক্ষার জন্য মানুষের বাড়িতে গেলেও কেউ ভিক্ষা দেয় না। ভিক্ষা করে যা পেতেন তা দিয়েই সংসার চলে।
আজ সকালে দারুশা বাজারে অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হবে এখান থেকে কিছু খাদ্য সামগ্রী মিলবে এমন আশায় প্রচণ্ড রোদের মধ্যে উপজেলার মোলাডাইং এলাকা হতে পায়ে হেঁটে চলে আসেন দারুশা বাজারে । কিন্তু এখানে এসে খাদ্য সামগ্রী বিতরণকারীর কাছে খাদ্য সামগ্রী চাইলে তাকে খাদ্য সামগ্রী না দিয়ে সেখান থেকে তাকে পাঠিয়ে দেয়।
বিমর্ষ অবস্থায় চোখ-মুখে হতাশার ছাপ নিয়ে একটি বন্ধ দোকানের সামনে বসে ছিলেন। বিষয়টি আরএমপি কর্ণহার থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার আলী তুহিনের নজরে আসলে নিজ অর্থায়নে চাল,ডাল,লবণ,তেল,বিস্কুট,চিনি
খাদ্যসামগ্রী কিনে ভ্যানে করে বৃদ্ধার বাসায় পৌছিয়ে দেন।
Leave a Reply